
কলা যখন পেকে যায়, তখন এর থেকে ইথিন গ্যাস নির্গত হয়। যেটার আরেক নাম ইথিলিন। উদ্ভিদের প্রাকৃতিক হরমোনগুলোর মধ্য একটি হচ্ছে এই ইথিলিন। ফল পাকাতে এটা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ইথিলিন ফলের কোষের দেয়াল ভেঙে শর্করাকে সুগারে রূপান্তরিত করে এবং ফলের অম্লতা বা এসিডিটিকে কমিয়ে দেয়।
আপেল, আতা, সফেদা কিংবা নাশপতির মতো অনেক ফল ইথিলিনের প্রতি খুবই সংবেদনশীল। এবং এরা নিজেরাও প্রচুর ইথিলিন গ্যাস নির্গত করে। এই ফলগুলোর সাথে কলা রাখলে এগুলো অতিদ্রুত পেকে যায়। এদের বহিরাবরণ (ছাল) আরও নরম হয়ে যায় এবং পঁচে যায়।
আরও পড়তে পারেনঃ সব প্রাণীই কি স্বপ্ন দেখে? এবং অন্যান্য
এছাড়া ফুলকপি, গাজইর বা বেগুনের মতো সবজিগুলোও ইথিলিনের প্রতি বেশিমাত্রায় সংবেদনশীল। তাই এসব সবজির সাথেও কলা সংরক্ষণ করা উচিত নয়। সেটা ফ্রীজে কিংবা ফ্রীজের বাইরে যেখানেই হোক না কেন।
অন্যদিকে, লেবু, জাম, কমলালেবুর মতো অনেক ফল আবার ইথিলিনের প্রতি খুব একটা সংবেদনশীল নয়। ফলে কলার সাথে রাখলে সেগুলো অকালে পেকে যায় না বা নষ্ট হয় না।
কোন ফল বা সবজির ইলিথিন নিঃসরণের পরিমাণ এবং ইথিলিনের প্রতি সংবেদনশীলতার পরিমাণ কেমন তা জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন।
1 Comment
আপেলের বীজ আপনার জন্য কতোখানি বিষাক্ত? - কেন্দ্রবাংলা · January 29, 2022 at 10:10 pm
[…] […]