সূর্য আমাদের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ?

সূর্য আমাদের আমাদের সবচেয়ে কাছে নক্ষত্র। অন্যভাবে বললে পৃথিবীর আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু এটা। সূর্যের আলো এবং তাপের সবচেয়ে বড় উৎস। সকালের অনাবীল সুন্দর সূর্যদয় আর সন্ধ্যার রক্তিম সূর্যাস্ত দেখি সূর্য আছে বলেই। তবে, সূর্যের গুরুত্ব কিন্তু এখানেই শেষ নয়।

পুরো সৌরজগতটা ঘুরছে সৌরজগতকে কেন্দ্র করে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, সূর্য তৈরী না হলে এই গ্রহ উপগ্রহগুলোও তৈরি হতো না। সূর্যে আমাদের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় আলোর তার তাপ উৎপন্ন হয়।

যদি সূর্য হঠাৎ এই মুহূর্তে নাই হয়ে যায় কোনভাবে, তাহলে আটমিনিটের মাথায় পৃথিবী সহ পুরো পৃথিবীর ঘোর অন্ধকারে ঢেকে যাবে। শুরু হবে প্রচণ্ড শীত। আলো এবং তাপ ছাড়া ধীরে সব উদ্ভিদ আর প্রাণী মারা পড়তে থাকবে। মানুষ হয়ত জীবাশ্ম কিংবা নিউক্লিয়ার জ্বালানী ব্যবহার করে বেঁচে থাকবে কোনভাবে।

সূর্য কেন গুরুত্বপূর্ণ

কিন্তু সেটাও একসময় শেষ হয়ে যাবে। অবধারিতভাবে পুরো পৃথিবী হয়ে যাবে নিশ্চিহ্ন। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো সূর্য আমাদের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে, দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সূর্য হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

চলো এবার সূর্য সম্পর্কিত কয়েকটা অবাক করা তথ্য জেনে নিই।

সকল কৃত্রিম উপগ্রহ বিকল হতে পারে সূর্যের কারণে

পৃথিবীর চারদিকে অসংখ্য কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুরছে প্রতিনিয়ত। কৃত্রিম উপগ্রহ হচ্ছে, মানুষের তৈরী যন্ত্র। যেটা বিভিন্ন প্রয়োজনে পৃথিবীর চারপাশের কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। যাইহোক, এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলো নষ্ট হওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী সৌরঝড়ই যথেষ্ট। তবে, আশার কথা তেমন বড় ধরণের সৌরঝড় এখন পর্যন্ত ঘটে নি। ভবিষ্যতে ঘটার সম্ভাবনা আছে কিনা বিজ্ঞানীরা তা এখনও জানেন না।

সূর্যের বুকে আমাদের জন্য আলো তৈরি হয়

সূর্য ছাড়া পুরো পৃথিবী ঢেকে যাবে গভীর অন্ধকারে। সেই সাথে পুরো পৃথিবী হবে অস্বাভাবিক শীতল।

সূর্যের বয়স

সূর্যের বয়স বিজ্ঞানীরা হিসেব কষে বের করেছেন ৪.৫ বিলিয়ন বছর। সূর্যের মূল জ্বালানী হচ্ছে হিলিয়াম এবং হাইড্রোজেন। নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার সেখানে বিরতিহীনভাবে তৈরী হচ্ছে প্রচণ্ড শক্তি।

সূর্যের দূরত্ব ও আয়তন

পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার। আর আয়তম এতো বড় যে, সেখানে অনায়েসে ১৩ লক্ষটি পৃথিবী এটে যাবে।

সূর্যের তাপমাত্রা

সূর্যের সব অংশের তাপমাত্রা সমান নয়। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা সূর্যের কেন্দ্র বা কোর যাকে বলে সেই অংশটির। প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শেয়ার করে নিনঃ

Leave a Reply