আমাদের প্রিয় গ্রহ পৃথিবী সহ আরও আটটা গ্রহ বিরতিহীনভাবে ঘুরে যাচ্ছে সূর্যকে কেন্দ্র করে। সৌরজগত বা সোলার সিস্টেম নামটিও এসেছে সূর্যকে কেন্দ্র করে। দিনের আলো কিংবা সৌরশক্তি পাই আমরা সূর্যের কল্যাণেই। তাই, সূর্যকে নিয়ে আমাদের কৌতুহলেরও কোন সীমা নেই।

সূর্যের বয়স কতো কিংবা কীভাবেই বা জানলাম সূর্যের বয়স এসব প্রশ্ন সেই কৌতুহলের অন্যতম একটি অংশ। আমরা তাই আজকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার চেষ্টা করবো। সেই সাথে জানবো, আরও কতোদিন আলো দিতে পারবে সূর্য।

সূর্যের বয়স কতো?

সূর্যের বয়স কতো?

সূর্যের বয়স হচ্ছে, ৪,৫০০,০০০,০০০ বছর! অনেকগুলো শূন্য দেখে কী গোলমাল লাগছে? আচ্ছা একটু সহজ করেই বলা যাক, সূর্যের বয়স হচ্ছে, সাড়ে চার বিলিয়ন বছর বা ৪৫০ কোটি বছর!

কীভাবে জানলাম সূর্যের বয়স?

সূর্যের বয়স তো আমরা জানতে পারলাম। কিন্তু, সূর্য নিশ্চয়ই এসে কোন মানুষের কানে কানে বলে যায় নি, আমার বয়স এতো বছর। আবার কারো ইচ্ছা হলো, সে খট করে লিখে ফেললো, সাড়ে চার বিলিয়ন বছরের বুড়ো সূর্য। এমনটাও হওয়ার কথা না (হলে, সবাই নিজেদের মতো করে সূর্যের বয়স লিখে ফেলত)। তাই, সূর্যের বয়স জানার সাথে সাথে এটাও জানা দরকার কীভাবে আমরা সূর্যের বয়স জানতে পারলাম।

আরও পড়তে পারোঃ পেরিস্কোপ : একটি সাধারণ কিন্তু বিস্ময়কর আবিষ্কার

বিজ্ঞানীরা সূর্যের বয়স জানার জন্য সৌরজগতের সবচেয়ে পুরাতন কোন জিনিস আমরা খুঁজে পেতে পারি সেটার অনুসন্ধান করেছেন আগে। মানুষ চাঁদে যাবার পর যখন চাঁদের পাথর নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এলো। তখন শুধু আকাশের চাঁদই হাতে পেলেন না বিজ্ঞানীরা, জানতে পারলেন সূর্য সম্পর্কেও। চাঁদের পাথর থেকে গবেষণা করে বের করে ফেললেন সেটার বয়স কতো। এর সাথে আরও বিস্তর গবেষণা পর জানা গেল সূর্যের বয়সও। সেসব জটিল আলোচনা নাহয় আরেকদিন করা যাবে।

তুমিই তাহলে আমার বয়স বলে দিয়েছো ওদেরকে?

আরও কতোদিন আলো দিতে পারবে সূর্য?

সূর্যের বয়স শুনে তাকে বুড়ো ভাবা কিন্তু একদমই উচিত হবে না। আমাদের সূর্যের মতো নক্ষত্রগুলো মোটামুটি ৯ থেকে ১০ বিলিয়ন বছর পর্যন্ত একইভাবে আলো দিয়ে যেতে পারে। সে হিসেবে সূর্য আছে মধ্য বয়সে (এজন্যই সূর্যকে মামা বলা হয়!)। আরও মোটামুটি ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি বছর আলো দিতে পারবে সূর্য!

এরপরে কী হবে?

আরও ৫০০ কোটি বছর আলো দেওয়ার পর সূর্য পরিণতে হবে, রেড জায়ান্ট-এ। উহুঁ, এটা রূপকথার বইয়ের দৈত্য নয়। এটা নক্ষত্রের একটি অন্তিম অবস্থা। এসময় সূর্য অনেক বড় আর অনেক ঠান্ডা হয়ে যাবে একই সাথে। পৃথিবীতে তখন সূর্যের আলোর উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে প্রায় ২০০০ গুন। বাড়বে তাপের পরিমাণও। কেন এবং কীভাবে রেড জায়ান্টে পরিণত হয় একটি নক্ষত্র সেটা নিয়েও আরেকদিন কথা বলবো। আজকে এতোটুকুই থাক।

নাসা স্পেসপ্লেস অবলম্বনে রচিত


1 Comment

  • Leave a Reply

    Avatar placeholder

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    2023 © KendroBangla | All Rights Reserved