বিটকয়েন কীভাবে তৈরি হয়েছিল? টেকনোলজি শব্দের বয়স কতো? অথবা কী-বোর্ডের বোতাম এলোমেলো থাকে কেন? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আজকের লেখায়। জানার চেষ্টা করবো প্রযুক্তির ৫টি চমকপ্রদ ফ্যাক্ট, সঙ্গে থাকছে একটি বোনাস!
প্রযুক্তির ৫টি চমকপ্রদ ফ্যাক্ট
চলুন, খামাখা কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় প্রবেশ করি।

টেকনোলজি শব্দটির প্রবর্তন করেন অ্যারিস্টটল
খ্রীষ্টিয় সাল গণনা শুরুর সেই ৩৩০ বছর আগের কথা। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল প্রথমবারের মতো Technology শব্দটি ব্যবহার করেন। প্রযুক্তিকে আমরা যতোই আধুনিক বলে দাবী করি না কেন, এর যাত্রা শুরু হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে।
কীবোর্ড রহস্য
নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের কীবোর্ডের অক্ষরগুলো এলোমেলো থাকে। অক্ষরক্রম ধারাবাহিকভাবে থাকে না। বেশিরভাগ দেশেই ব্যবহৃত হয় QWERTY লে-আউটের কী-বোর্ড। চাইলেই কীবোর্ডের অক্ষরগুলো ক্রমানুসারে রাখা যেত। কিন্তু কাজটি করা হয় নি, কেবল লেখার গতি ঠিক রাখার জন্য। টাইপরাইটারে জ্যাম সমস্যা দূর করতেই এমন কীবোর্ড তৈরি করা হয়।
জেরক্স কপি মানে কি
অনেকেই ফটোকপি সমার্থক হিসেবে ‘জেরক্স’ শব্দটি ব্যবহার করেন। তাঁদের কাছে বিষয়টি স্মার্টনেস বা কুলনেসের অংশ মনে হতে পারে। আসলে জানেন কি, জেরক্স একটি কোম্পানির নাম। যারা জেরক্সগ্রাফিক প্রযুক্তি তৈরি ও বিক্রি করে। কোম্পানিটির পুরো নাম, জেরক্স হোল্ডিং করপরেশন।
প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি করে মটোরোলা
১৯৮৩ সালে মটোরোলা কোম্পানি প্রথমবারের মতো মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তাঁরা প্রথম যে ফোনটি বের করে, তাঁর নাম ছিল, DynaTAC 8000X. ফোনটিতে ছিলো বিশাল এক কী-প্যাড ও অ্যান্টেনা।
বিটকয়েনের প্রতিষ্ঠাতার পরিচয় এখনও অজানা
এই তো কিছুদিন আগেই বিটকয়েন নিয়ে কী একটা ঝড় বয়ে গেল সারা দুনিয়ায়। হুট করে দাম হয়ে গেল আকাশচুম্বী। এখন অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। ডিজিটাল এই মুদ্রা ঠিক কে আবিষ্কার করেছিলেন, তা কিন্তু বেশ রহস্যময়। সাতোশি নাকামতো নামের কাউকে এর জনক দরা হয়। কিন্তু বাস্তবে এ নামে কেউ পৃথিবীতে আছেন কিনা বা কখনো ছিলেন কিনা সে তথ্য এখনও সবার অজানা।
আরও পড়তে পারেনঃ ইন্টারনেট নিয়ে ১০টি অবাক তথ্য, আপনার জানা আছে কি?
সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট জাপানে
দ্বীপরাষ্ট্র জাপান। পৃথিবীর প্রথম নিউক্লিয়ার বোমায় ছিন্নভিন্ন হওয়া একটি দেশ জাপান। এছাড়াও জাপানের আরেকটা পরিচয় আছে, সেরা প্রযুক্তিপণ্যের দেশ জাপান। জাপানে ইন্টারনেটের গতির কথা শুনলে চমকে যাবেন। প্রতিসেকেন্ডে প্রায় ৩১৯ টেরাবিটস গতি পাওয়া যায় এ দেশে। এ গতিতে গড়পড়া প্রায় ৮০ হাজার সিনেমা ডাউনলোড করা সম্ভব মাত্র ১ সেকেন্ডেই!
এই ছিল প্রযুক্তির ৫টি চমকপ্রদ ফ্যাক্ট নিয়ে আমাদের এ আয়োজন। কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারেন ফেসবুকে।
0 Comments