প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, নবম দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান বহুনির্বাচনী প্রশ্নের আরও একটি আয়োজনে তোমাদের স্বাগতম। পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ১৪ অধ্যায় – জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞান । এখান থেকে মানসম্পন্ন ৩০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দিয়ে সাজিয়েছি আজকের পদার্থবিজ্ঞান MCQ।
এই এমসিকিউগুলোর মাধ্যমে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী অথবা নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিসেবে খুব সহজেই তুমি নিজের দক্ষতা ঝালিয়ে নিতে পারবে। এর আগে আমরা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের প্রথম থেকে ১৩ অধ্যায় পর্যন্ত সকল অধ্যায়ের এমসিকিউ প্রশ্ন প্রকাশ করেছিলাম। এখনও সেটি দেখে না থাকলে দেখে নিতে পারো।
পদার্থবিজ্ঞান MCQ : ১৪ অধ্যায় – জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞান
এই বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বা এমসিকিউগুলো অনুশীলন করার আগে অবশ্যই পদার্থবিজ্ঞান মূল বইয়ের “১৪ অধ্যায় – জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞান” ভালো করে পড়ে নিবে। এরপর ৩০ মিনিট সময়ের মধ্য বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বা এমসিকিউগুলোর উত্তর খাতায় লিখে ফেলবে।
আমরা প্রতিটা প্রশ্নের মান ১ নাম্বার করে ধরেছি। প্রশ্নের শেষ অংশে এর সঠিক উত্তরগুলোও যুক্ত করে দিয়েছি। তাই, উত্তর দেওয়া শেষে খুব সহজেই তোমরা তোমাদের প্রাপ্ত নাম্বার বের করে ফেলতে পারবে। তোমার অন্যান্য বন্ধুদের উৎসাহ দিতে তোমার প্রাপ্ত নাম্বারটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিও।

০১। কে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী?
(ক) আবদুস সালাম
(খ) জগদীশচন্দ্র বসু
(গ) সত্যেন বোস
(ঘ) স্টিফেন হকিংস
০২। উদ্ভিদের বৃদ্ধি রেকর্ড করার যন্ত্রের নাম কী?
(ক) সিসমোগ্রাফ
(খ) সেক্সট্যান্ট
(গ) ক্রোস্কোগ্রাফ
(ঘ) ব্যারোমিটার
০৩। নিচের কোনটি একটি জৈবযন্ত্র স্বরূপ?
(ক) থার্মোমিটার
(খ) মানবদেহ
(গ) উদ্ভিদ
(ঘ) ক ও গ উভয়ই
০৪। এক্স রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত?
(ক) 10-8 m
(খ) 10-13 m
(গ) 10-10 m
(ঘ) 10-16 m
০৫। পেটের অন্ধ্রের প্রতিবন্ধকতা সনাক্ত করা যায় কোন রশ্মির সাহায্যে?
(ক) এক্স রশ্মির
(খ) বিটা রশ্মি
(গ) গামা রশ্মি
(ঘ) আলফা রশ্মি
০৬। রোগ নির্ণয়ের জন্য যে আল্টাসনোগ্রাফি করা হয় সেই শব্দের কম্পাঙ্ক কত?
(ক) 1-10 MHz
(খ) 1-10 KHz
(গ) 10-20 MHz
(ঘ) 10-20 KHz
০৭। আল্ট্রাসনোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়—
i. স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিজ্ঞানে
ii. পেলভিক মাসের উপস্থিতি নির্ণয়ে
iii. হৃদযন্ত্রের ত্রুটি শনাক্ত করণে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ০৮ ও ০৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
আল্ট্রাসনোগ্রাফি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা উচ্চ কম্পাংকের শব্দের প্রতিফলনের ওপর নির্ভরশীল। উচ্চ কম্পাংকের শব্দ যখন শরীরের গভীরের কোন অঙ্গ বা পেশী থেকে প্রতিফলিত হয় তখন প্রতিফলিত তরঙ্গের সাহায্যে ঐ অঙ্গের অনুরূপ একটি প্রতিবিম্ব মনিটরের পর্দায় ভেসে ওঠে।
০৮। উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত শব্দের কম্পাংক কত?
(ক) 1-10 MHz
(খ) 5 – 30 MHz
(গ) 10-15 MHz
(ঘ) 15-20 MHz
০৯। উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় যে যন্ত্রটিকে বৈদ্যুতিকভাবে উত্তেজিত করে উচ্চ কম্পাংকের আল্ট্রাসনিক তরঙ্গ উৎপন্ন করা হয় তাকে কী বলে?
(ক) ট্রান্সফরমার
(খ) ট্রানজিস্টার
(গ) ট্রান্সডিউসার
(ঘ) এ্যামপ্লিফায়ার
১০। যে প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রিমাত্রিক বস্তুর কোনো ফালি বা অংশের দ্বিমাত্রিক প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয় তার নাম কী?
(ক) এক্স-রে
(খ) এমআরআই
(গ) টমোগ্রাফি
(ঘ) মনোগ্রাফি
১১। কোনটিতে এক্সরের তুলনায় চিত্র অনেক নিখুঁত এবং বিস্তৃত হয়?
(ক) আল্টাসনোগ্রাফি
(খ) সিটিস্ক্যান
(গ) এম আর আই
(ঘ) এ্যানজিওগ্রাফি
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১২ ও ১৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
সিটি স্ক্যানের সাহায্যে শরীরের নরম টিস্যু, রক্তবাহী শিরা বা ধমনি, ফুসফুস ব্রেন ইত্যাদির ত্রিমাত্রিক ছবি পাওয়া যায়। ক্যান্সার সনাক্ত করার কাজেও এটি ব্যবহার হয়। সিটি স্ক্যানের সাহায্যে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা আছে কিনা তাও জানা যায়।
১২। উপরোক্ত প্রক্রিয়া টিউমার সনাকরণের পাশাপাশি টিউমারের এবং কী নির্ধারণ করে?
(ক) অবস্থান ও আকার
(খ) অবস্থান ও পরিমাণ
(গ) অবস্থান ও ঘনত্ব
(ঘ) অবস্থান ও ভর
১৩। উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি নিম্নলিখিত অঙ্গের ক্যান্সার সনাক্ত করে—
i. যকৃতের
ii. ফুসফুসের
iii. অগ্ন্যাশয়ের
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
১৪। নিচের কোন শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ইসিজি?
(ক) Electrocardiogram
(খ) Radiation Therapy
(গ) Exercise Tolerence Test
(ঘ) Computed Tomography Scan
১৫। M.R.I ইংরেজী কোন শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ?
(ক) Magnetic Reaction Image
(খ) Machine Readable Imaging
(গ) Magnetic Resonance Imaging
(ঘ) Magnetic Reflection Image
১৬। হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের হার অনিয়মিত হলে তা নিচের কোনটির মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়?
(ক) ইসিজি
(খ) ইটিটি
(গ) এক্সরে
(ঘ) এনজিও গ্রাফি
১৭। কোন পরীক্ষার সাহায্যে কোনো ব্যক্তির হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক এবং পেশিজনিত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যায়?
(ক) এন্ডোসকোপি
(খ) ইসিজি
(গ) ইটিটি
(ঘ) এম আর আই
১৮। কিসের মাধ্যমে চিকিৎসকগণ শরীরের অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের অস্বস্তিবোধ, ক্ষত, প্রদাহ এবং অস্বাভাবিক কোষবৃদ্ধি পরীক্ষা করে থাকেন?
(ক) এনজিওগ্রাফি
(খ) এন্ডোসকোপি
(গ) ইসিজি
(ঘ) ইটিটি
১৯। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের কৌশল কোনটি?
(ক) এম আর আই
(খ) রেডিওথেরাপি
(গ) ইসিজি
(ঘ) সিটি স্ক্যান
২০। কোন পরীক্ষা আসলে অনুশীলনরত অবস্থায় রোগীর ইসিজি পরীক্ষা?
(ক) এন্ডোসকোপি
(খ) এনজিওগ্রাফি
(গ) আন্ট্রাসনোগ্রাফি
(ঘ) ইটিটি
২১। এনজিওগ্রাফিতে চিকিৎসক যে নল ব্যবহার করেন তার নাম কী?
(ক) ক্যাথোড
(খ) অ্যানোড
(গ) ক্যাথেটার
(ঘ) অ্যানেটার
২২। বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর সাথে কোন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট?
i. বসু মন্দির প্রতিষ্ঠা
ii. তেজস্ক্রিয় মৌলের ব্যবহার
iii. ক্রেস্কোগ্রাফ আবিষ্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
২৩। X-ray ফিল্মে হাড়ের ছবি স্পষ্ট দেখা যাওয়ার কারণ—
(ক) হাড় X-ray দ্বারা অভেদ্য
(খ) মাংসপেশি X-ray দ্বারা অভেদ্য
(গ) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনেক বেশি
(ঘ) উঁচু ভেদনক্ষমতা সম্পন্ন
২৪। সূক্ষ্ম রক্তনালিকার ব্লকেজ পরীক্ষা করার প্রযুক্তির নাম হলো
(ক) এনজিওগ্রাম
(খ) এনজিওপ্লাস্টি
(গ) ইটিটি
(ঘ) ইসিজি
২৫। হৃদ স্পন্দনের হার ও ছন্দময়তা পরিমাপ করা হয় কী উপায়ে?
(ক) তড়িৎ সংকেত সনাক্ত করে
(খ) X-ray এর মাধমে
(গ) নিউক্লীয় চৌম্বক অনুনাদের মাধ্যমে
(ঘ) শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে
২৬। পদার্থবিজ্ঞানের সাথে জীববিজ্ঞানের সম্পর্ক স্থাপন করে যে নতুন বিষয়ের বিকাশ ঘটেছে তার নাম—
(ক) জৈব প্রযুক্তি (Bio-technology)
(খ) জীবপদার্থবিজ্ঞান (Bio-physics)
(গ) স্টয়কিয়োমেট্রি (Stoichiometry)
(ঘ) ভৌত জীববিজ্ঞান (Physical biology)
২৭। জগদীশচন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন—
(ক) ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর
(খ) ১৮৬৮ সালের ৩০ নভেম্বর
(গ) ১৮৫৮ সালের ২০ নভেম্বর
(ঘ) ১৮৬৮ সালের ২০ নভেম্বর
২৮। জগদীশচন্দ্র বসু দূরবর্তী স্থানে কীভাবে রেডিও সংকেত প্রেরণ করে তা জনসমক্ষে দেখান প্রথম—
(ক) ১৮৫৮ সালে
(খ) ১৮৯০ সালে
(গ) ১৮৯৫ সালে
(ঘ) ১৮৯২ সালে
২৯। ক্রেস্কোগ্রাফ এর কাজ কী?
(ক) উদ্ভিদের বৃদ্ধি রেকর্ড করা
(খ) উদ্ভিদের সীমিত মাত্রায় নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ
(গ) বিভিন্ন উদ্দীপকের প্রতি সাড়া
(ঘ) উদ্ভিদের শ্বসন রেকর্ড করা
৩০। মানবদেহের স্বয়ংক্রিয় পাম্প বলা হয় কোনটিকে?
(ক) বৃক্ক
(খ) ফুসফুস
(গ) যকৃত
(ঘ) হৃৎপিণ্ড
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য মূল পাঠ্যবই বারবার মনোযোগ সহকারে পড়ার কোন বিকল্প নেই।
সঠিক উত্তরঃ
০১। (খ) | ২১। (গ) | ১১। (খ) |
০২। (গ) | ২২। (খ) | ১২। (ক) |
০৩। (খ) | ২৩। (ক) | ১৩। (ঘ) |
০৪। (গ) | ২৪। (ক) | ১৪। (ক) |
০৫। (ক) | ২৫। (ক) | ১৫। (গ) |
০৬। (ক) | ২৬। (খ) | ১৬। (ক) |
০৭। (ঘ) | ২৭। (ক) | ১৭। (খ) |
০৮। (ক) | ২৮। (গ) | ১৮। (খ) |
০৯। (গ) | ২৯। (ক) | ১৯। (খ) |
১০। (গ) | ৩০। (ঘ) | ২০। (ঘ) |
যাচাই শেষে নাম্বার কম পেলে একদমই মনখারাপ করবে না। বরং পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের “১৪ অধ্যায় – জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞান” বের করে আবার ভালো করে পড়ে নিবে।
ভুল উত্তরগুলো কেন ভুল হলো সেটা জানার চেষ্টা করবে। তাহলে সঠিক উত্তরটি তোমার মস্তিষ্কে পাকাপাকিভাবে গেঁথে যাবে। পরবর্তীতে আর ভুলবে না ইনশাআল্লাহ্। “জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞান” অধ্যায় নিয়ে কোন প্রশ্ন তোমাদের মনে আসলে, কমেন্টে জানাতে পারো আমাদের। আর তোমাদের ক্লাসের জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের সকল বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেখে নিতে পারো এখান থেকে।
0 Comments